চেয়ারম্যানের বাণী
শিক্ষা হচ্ছে পরিকল্পিত উপায়ে ছাত্র-ছাত্রীদের সঞ্চিত অতীত অভিজ্ঞতা, ঐতিহ্য, মূল্যবোধ এবং দক্ষতা সম্পর্কে জ্ঞাত করানোর প্রচেষ্টা। এই অর্থে শিক্ষা হচ্ছে এক ধরণের নির্দেশনা। অন্যভাবে, যে শিশুটি যে সমাজে বসবাস করে তাকে সে সমাজের উপযোগী সদস্য হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। এই উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে রাষ্ট্র, সমাজ, পরিবার ও বিদ্যালয় বা অন্য কোন মাধ্যম সচেতন ও ইচ্ছাকৃতভাবে যে প্রয়াস পরিচালনা করে তাই হচ্ছে শিক্ষা।
আপনারা নিশ্চয়ই জানেন, বিএসবি ফাউন্ডেশন কর্তৃক পরিচালিত ক্যামব্রিয়ান, মেট্রোপলিটন, কিংস, উইনসাম ও নর্থ সিটি কলেজ বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় এনে দিয়েছে নতুন মাত্রা। পরিপাটি, আদর্শ ও আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন শিক্ষা ব্যবস্থার কারণে ইতোমধ্যেই দেশ-বিদেশের নানা পর্যায়ে প্রশংসিত হয়েছে ক্যামব্রিয়ান কলেজ। দেশের প্রথম শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে ISO 9001-2008 সনদপ্রাপ্ত এই কলেজের শিক্ষাপদ্ধতি বাংলাদেশের শিক্ষাপরিকল্পনায় এক যুগান্তকারী মডেল হিসেবে পরিগণিত হয়েছে। মেট্রোপলিটন স্কুল অ্যান্ড কলেজ তারই ধারাবাহিকতায় স্বমহিমায় সমুজ্জ্বল একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
বিএসবি ফাউন্ডেশন এবং মেট্রোপলিটন স্কুল অ্যান্ড কলেজ শিক্ষা প্রসারকে একটি সামাজিক আন্দোলন হিসেবে নিয়েছে Vision-2021 - কে। স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি হবে ২০২১ সালে। নিরক্ষরমুক্ত বাংলাদেশে স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি অর্থাৎ সুবর্ণ জয়ন্তী পালন করাই হচ্ছে Vision-2021 এর মূল প্রতিপাদ্য বিষয়। বর্তমান সরকার শিক্ষা প্রসারে Vision-2021 নামক একটি কর্মসূচী চালু করেছে। যা আমাদের কর্মসূচীর সঙ্গে অভিন্ন।
বর্তমান সরকারের ঘোষিত ২০২১ সালের মধ্যে নিরক্ষরমুক্ত এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে যাঁরা সর্বদা নিবেদিত তাঁরাই হচ্ছে দেশের শিক্ষা উদ্যোক্তা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং শিক্ষক সমাজ। বিশ্ব শিক্ষক দিবসে তাঁদেরকে যথাপোযুক্ত সম্মাননার মাধ্যমে নিরক্ষরমুক্ত দেশ গঠনে আরো বেশি সম্পৃক্ত করা সম্ভব। তাই আমারা ২০০৬ সাল হতে প্রদান করছি ‘বিএসবি ফাউন্ডেশন অ্যাওয়ার্ড’। শিক্ষা উদ্যোক্তা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষকদের যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করাই হচ্ছে এই সম্মাননা পদকের মূল উদ্দেশ্য।
এখানকার শিক্ষা পদ্ধতি গতানুগতিক নয়। বিশ্ব শিক্ষা ব্যবস্থার সাথে তাল মেলাতে মেট্রোপলিটন স্কুল অ্যান্ড কলেজ নিয়েছে যুগোপযোগী বহুমাত্রিক পরিকল্পনা। এখানে রয়েছে আন্তর্জাতিক মানের নয়নাভিরাম ক্যাম্পাস, সুসজ্জিত শ্রেণিকক্ষ, লেকচার শিট, শিক্ষকদের স্ব-উদ্যোগে প্রণীত নোট ছাড়াও বিভিন্ন শিক্ষাসহায়ক বই, অত্যাধুনিক বিজ্ঞানাগার, সাচিবিক বিদ্যা ল্যাব ও পর্যাপ্ত কম্পিউটারসহ অনলাইন কম্পিউটার ল্যাব, লাইব্রেরি, মাল্টিমিডিয়া তথ্য প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহারের মাধ্যমে শিক্ষার সকল সুযোগ-সুবিধা। এছাড়াও এখানকার শিক্ষার্থীদের অতিরিক্ত অর্থ ও সময় ব্যয় করে প্রাইভেট শিক্ষকদের দ্বারস্থ হতে হয় না। ফিডব্যাকের মাধ্যমে প্রতিদিনের পড়া প্রতিদিন আদায় করা হয় এবং দুর্বল শিক্ষার্থীদেরকে সুপারভাইজরি স্ট্যাডি প্রোগ্রাম (SSP) এর মাধ্যমে ক্রমান্বয়ে ভালো ফলাফল করার উপযোগী করে গড়ে তোলা হয়। প্রতিনিয়ত পরীক্ষা গ্রহণের মাধ্যমে ছাত্র-ছাত্রীদের মেধাগত উন্নয়ন ও সৃজনশীলতা বৃদ্ধির পাশাপাশি চূড়ান্ত পরীক্ষার জন্য উপযুক্ত করে প্রস্তুত করা হয়।
দক্ষ, মেধাবী, অভিজ্ঞ ও প্রশিক্ষিত শিক্ষকম-লীর নিরলস পরিশ্রমের ফলে মেট্রোপলিটনের শিক্ষার্থীরা ২০০৮ থেকে শুরু করে অদ্যবদি জেএসসি, এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় অত্যন্ত সাফল্যের সাথে GPA-5 সহ উত্তীর্ণ হয়েছে। মেট্রোপলিটনের শিক্ষার্থীরা আজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল ও প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়ন করছে। অনেক শিক্ষার্থী তাদের সর্বোচ্চ শিক্ষা সমাপ্ত করে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সুনামের সাথে বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করছে। আগামী দিনগুলোতে কেবল কলেজ পর্যায়ে নয়, প্রাথমিক থেকে শুরু করে উচ্চ শিক্ষা পর্যন্ত প্রতিটি স্তরে এদেশের শিক্ষাক্ষেত্রে সাফল্যের ধারাবাহিকতা আমরা বাজায় রাখতে চাই।
আমরা গভীরভাবে বিশ্বাস করি, মেট্রোপলিটন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ভবিষ্যতে আরো সাফল্যের স্বাক্ষর রাখবে এবং সবার আন্তরিক সহযোগিতায় আমাদের চলার পথকে আরো গতিময় করবে।