ক্যামব্রিয়ানের পাঠদান পদ্ধতি
একাডেমিক ক্যালেন্ডার অনুসরণ:
একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির সময় প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে একটি একাডেমিক ক্যালেন্ডার দেওয়া হয়। এই একাডেমিক ক্যালেন্ডারে একাদশ শ্রেণি থেকে উচ্চমাধ্যমিক পর্যন্ত সকল একাডেমিক কার্যক্রমের বিষদ পরিকল্পনা থাকে। ফলে একজন শিক্ষার্থী শুরু থেকেই তার একাধিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হতে পারে।
পাঠ পরিকল্পনা:
ক্যামব্রিয়ান কলেজের শিক্ষাবর্ষের শুরুতেই শিক্ষকগণ সব বিষয়ের পাঠ পরিকল্পনা প্রণয়ন করে থাকেন। একাডেমিক ক্যালেন্ডারের সাথে সমন্বয় করে কোন ক্লাসে কোন বিষয়ের কোন অধ্যায় পড়ানো হবে তা পাঠ পরিকল্পনায় উল্লেখ থাকে। ফলে শিক্ষার্থীরা প্রতিটি বিষয়ের কোন দিন কোন অধ্যায় পড়ানো হবে, তা বছরের শুরুতেই পেয়ে যায়। ফলে একদিকে শিক্ষকগণের ক্লাসের প্রস্তুতি নিতে যেমন সহজ হয় তেমনি ছাত্র-ছাত্রীরাও পাঠ গ্রহণে মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকে।
অভিজ্ঞ শিক্ষকম-লী:
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক হচ্ছে অভিজ্ঞ, প্রশিক্ষিত ও নিবেদিত প্রাণ শিক্ষকমন্ডলী। ক্যামব্রিয়ান কলেজে অনেক শিক্ষক রয়েছেন যারা পাঠ্যবই ও সহায়ক বইয়ের লেখক।
সৃজনশীল পদ্ধতির যথাযথ অনুসরণ:
সৃজনশীল পদ্ধতি শিক্ষকগণ যাতে সহজভাবে পাঠদান করতে পারেন সে লক্ষে তাঁদেরকে দক্ষ ও অভিজ্ঞ মাস্টার ট্রেইনার দ্বারা ট্রেনিং প্রদান করা হয়। ফলে শিক্ষকগণ এ পদ্ধতির প্রয়োজনীয় উপকরণ প্রস্তুত করতে সক্ষম। এক কথায় বলা যায়, শিক্ষকগণ সম্পূর্ণ প্রস্তুত সৃজনশীল পদ্ধতির যথাযথ প্রয়োগে।
এসএসপি (SSP):
ক্যামব্রিয়ান কলেজের কোনো শিক্ষার্থীকে বাইরে কোনো কোচিং করতে হয় না। শিক্ষার্থীদের নির্ধারিত সাধারণ ক্লাসের পর কোচিং এর বিকল্প হিসেবে Supervisory Study Program (SSP) সুবিধা দেওয়া হয়। এতে একজন শিক্ষার্থী তার নিজ শিক্ষকের কাছেই বিষয়ভিত্তিক সব সমস্যা সমাধান করে নিতে পারে। ছুটির পর শিক্ষার্থী তার দুর্বল বিষয়ে শিক্ষকের সহায়তা নিতে পারে।
পাঠদান পদ্ধতি:
ক্যামব্রিয়ান কলেজে ন্যাশনাল কারিকুলামে ইংরেজি ও বাংলা উভয় ভার্শনে শিক্ষার্থীরা লেখাপড়া করতে পারে। শিক্ষকগণ ক্লাসে এমনভাবে পাঠদান করেন যাতে একজন শিক্ষার্থী আনন্দের সাথে তার শিক্ষাগ্রহণ করতে পারে। এছাড়া শিক্ষার্থীদেরকে পাঠ্যবইয়ের বাইরে তার জ্ঞান বৃদ্ধির জন্য সাধারণ জ্ঞান, ইংরেজি ও আন্তর্জাতিক বিষয়সমূহ গুরুত্বের সাথে চর্চা করানো হয়।
আধুনিক শিক্ষা উপকরণ:
ক্যামব্রিয়ান কলেজের শ্রেণিকক্ষে সব আধুনিক শিক্ষা উপকরণ ব্যবহার করা হয়। শ্রেণিকক্ষে শিক্ষকগণ প্রজেক্টর ব্যবহার করে অত্যন্ত দক্ষতার সাথে লেকচার প্রদান করে থাকেন। এছাড়া ব্যবহারিক বিষয়গুলো শিক্ষার্থীরা আধুনিক বিজ্ঞানাগারে অত্যন্ত সুচারুরূপে সম্পন্ন করে থাকে।
নিয়মিত পরীক্ষার মাধ্যমে মূল্যায়ন:
প্রতি সপ্তাহের শনিবার ৩টি বিষয়ের উপর সাপ্তাহিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া একাডেমিক ক্যালেন্ডার অনুযায়ী বছরে ২টি টার্ম শেষে বার্ষিক পরীক্ষা নেয়া হয়। এইচএসসি পরীক্ষার পূর্বে নির্বাচনি ও একাধিক মডেল টেস্ট থাকে। ফলে শিক্ষার্থী পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে বুঝতে পারে কেন সে নম্বর কম-বেশি পেল এবং খাতায় কোথায় কোথায় সে কী কী ভুল করেছে।
অভিভাবক সভা:
শিক্ষার্থীর অভ্যন্তরীণ পরীক্ষার ফলাফল অভিভাবক সভা ডেকে প্রদান করা হয়। প্রত্যেক অভিভাবক পৃথকভাবে শিক্ষকদের সাথে মত বিনিময় করতে পারেন। এছাড়া অভিভাবক দিবসে সম্মানিত অভিভাবকদের কাছ থেকে লিখিতভাবে তাদের মতামত নেয়া হয়, যা পরবর্তী সময়ে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা হয়। ক্যামব্রিয়ান কলেজ কর্তৃপক্ষ অভিভাবকদের মতামতকে অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করে থাকে।
গাইড ও শ্রেণি শিক্ষক:
ক্যামব্রিয়ান কলেজের প্রতি ১০ জন শিক্ষার্থীর জন্য ১ জন গাইড শিক্ষক রয়েছেন। গাইড শিক্ষক শিক্ষার্থীদের খুব নিকটে থেকে তাদের বিভিন্ন সমস্যা সমাধান করে থাকেন। আবার প্রতি ক্লাসের জন্য একজন শ্রেণি শিক্ষক নির্ধারিত থাকেন। তিনি ক্লাসের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান দিয়ে থাকেন। শ্রেণি শিক্ষক একটি শ্রেণির অভিভাবক হিসেবে ছাত্রদের লেখাপড়া ও ফলাফল উন্নয়নের দায়িত্ব নিয়ে থাকেন।
সমৃদ্ধ লাইব্রেরি:
এ প্রতিষ্ঠানে রয়েছে আধুনিক তথ্য ও বইসমৃদ্ধ লাইব্রেরি; যেখানে পাঠ্যবইয়ের পাশাপাশি বিভিন্ন বই রয়েছে। শিক্ষার্থীরা তাদের প্রয়োজন মতো বই নিয়ে পড়াশোনা করতে পারে; যা শিক্ষার্থীর জ্ঞান বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
কো-কারিকুলার সুবিধা:
লেখাপড়ার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের মানসিক বিকাশের জন্য বিভিন্ন কো-কারিকুলার কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়। ক্যামব্রিয়ান কলেজের শিক্ষার্থীদের নাচ, গান, অভিনয় ও বিতর্ক প্রতিযোগিতাসহ বিভিন্ন বিষয়ে পারদর্শী করে গড়ে তোলার জন্য অভিজ্ঞ প্রশিক্ষক রয়েছে। এছাড়া কো-কারিকুলার কার্যক্রমকে আরো সমৃদ্ধ করার জন্য পৃথকভাবে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে ক্যামব্রিয়ান কালচারাল একাডেমি। বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে ক্যামব্রিয়ানের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করে থাকে।
স্মার্ট ক্লাস রুম:
বাংলাদেশের শিক্ষাঙ্গনে অত্যাধুনিক মাত্র তিনটি স্মার্ট ক্লাস রুম রয়েছে। একটি আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে স্কুলে লেখাপড়া করেছেন। সেটি হচ্ছে, আজিমপুর গভঃ গার্লস হাই স্কুল। দ্বিতীয়টি হচ্ছে ল্যাবরেটরী গভঃ হাই স্কুল এবং তৃতীয়টি হচ্ছে ক্যামব্রিয়ান স্কুল অ্যান্ড কলেজে। স্মার্ট ক্লাসরুমে বিশেষ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে প্রতিবছর টপ ১০০ ক্ষুদে প্রোগ্রামার তৈরি করা হয়ে থাকে।
ক্যামব্রিয়ান বাংলাদেশের প্রথম ডিজিটাল কলেজ
- ০১. অভিজ্ঞ, দক্ষ ও দায়িত্বশীল শিক্ষকম-লী দ্বারা পাঠদান এবং ছাত্র-শিক্ষক অনুপাত ১০:১। বর্তমানে ৮০০০ ছাত্র-ছাত্রীর জন্য ১৫০০ জন শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী রয়েছেন।
- ০২. ক্যামব্রিয়ান ঢাকা শিক্ষা বোর্ডে সেরা ১০ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে অন্যতম।
- ০৩. ক্যামব্রিয়ানের কোনো শিক্ষার্থীকে প্রাইভেট পড়তে হয় না। অপেক্ষাকৃত দুর্বল শিক্ষার্থীদেরকে সনাক্ত করে স্পেশাল কেয়ারে এগিয়ে নেয়া হয়। মেধাবী ও গরিব শিক্ষার্থীদের জন্য স্কলারশিপ সুবিধা। নির্ধারিত ক্লাস শেষে এসএসপি ও ফিডব্যাক ক্লাস। যার জন্য কোচিং বা প্রাইভেট পড়তে হয় না।
- ০৪.পাঠ্যবই, খাতা, কলম, ক্যালকুলেটর ইউনিফর্ম, কলেজ ব্যাগসহ ১০১টি সুবিধা কলেজ থেকে প্রদান করা হয়, যার জন্য অতিরিক্ত কোনো অর্থ নেয়া হয় না।
- ০৫. ক্লাস রুমে মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর এবং স্মার্ট বোর্ডসহ আধুনিক শিক্ষা উপকরণের ব্যবহার এবং সুসজ্জিত ও আধুনিক ল্যাব সুবিধা।
- ০৬. ৩৫-৪৫ জন শিক্ষার্থীর স্ট্যান্ডার্ড ক্লাস রুম।
- ০৭. স্মার্ট ক্লাস রুমের মাধ্যমে ছাত্র/ছাত্রীদের মধ্য থেকে প্রতিবছর টপ একশ প্রোগ্রামার তৈরির জন্য বিশেষ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা।
- ০৮. শিক্ষার্থীর কলেজে অনুপস্থিতি, ফলাফল ও বাসায় লেখাপড়ার বিষয়ে অভিভাবকদের সাথে ফোনে বা সরাসরি নিয়মিত যোগাযোগ করা হয়।
- ০৯. নিয়মিত অভিভাবক দিবস আয়োজন ও তাদের মতামত এবং পরামর্শ গ্রহণ শেষে ব্যবস্থা নেয়া হয়।
- ১০. টার্ম ও বার্ষিক পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে সেকশন পরিবর্তন। অভ্যন্তরীণ ও বোর্ড পরীক্ষার জন্য আলাদা কোনো টাকা নেয়া হয় না।
- ১১. অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে (বনভোজন, শিক্ষা সফর, ধর্মীয় উৎসব, বার্ষিক ক্রীড়াসহ বিভিন্ন ইনডোর অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ, শিক্ষামেলা, সংবর্ধনা) আলাদা কোনো চাঁদা বা ফি নেয়া হয় না।
- ১২. আবাসিক ও ট্রান্সপোর্ট সুবিধাসহ ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য পৃথক ক্যাম্পাস/ ক্লাস রুমে পড়ানোর ব্যবস্থা।
- ১৩. একাডেমিক ক্যালেন্ডার অনুযায়ী ক্লাস, পরীক্ষা ও অন্যান্য সহশিক্ষা কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়। রাজনৈতিক সমস্যা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগে কলেজ বন্ধ থাকলে শুক্রবার ও অন্যান্য বন্ধের দিন মেক-আপ ক্লাস বা পরীক্ষা নেয়া হয়।
- ১৪. ক্যামব্রিয়ানে রয়েছে এমবিবিএস ডাক্তার, সাইকোলজিস্ট, নিউট্রেসিয়ান স্পেশালিস্ট ও প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত নার্স।
- ১৫. সুষ্ঠু ও সুশৃৃঙ্খল পরিবেশ, রাজনীতি ও ধূমপানমুক্ত এবং কঠোর নিরাপত্তা ও নিরাপদ অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থাসহ সার্বক্ষণিক জেনারেটর সুবিধা।
- ১৬. শিক্ষার্থীদের মানব সেবায় উদ্বুদ্ধ করার জন্য স্কাউটিং, BNCC, লিও ক্লাব, রক্তদান কর্মসূচি, শীতবস্ত্র বিতরণ, বিভিন্ন গণসচেতনামূলক র্যালি ও সেমিনারে অংশগ্রহণের সুযোগ। এছাড়াও ছবি আঁকা, শারীরিক শিক্ষা, স্কাউটিং ও গার্লস গাইড ইত্যাদির জন্য নিজস্ব শিক্ষক দ্বারা প্রশিক্ষণ প্রদান।
- ১৭. ক্যামব্রিয়ান কালচারাল একাডেমির মাধ্যমে দেশীয় সংস্কৃতির লালন, নাচ, গান, কবিতা আবৃত্তি ও বিতর্কের মাধ্যমে মননশীলতা বিকাশের সুযোগ।
- ১৮.অভ্যন্তরীণ পরীক্ষায় ভালো ফল অর্জনকারী ও শতভাগ উপস্থিতি যাদের আছে তাদের জন্য বিশেষ পুরস্কারের ব্যবস্থা।
- ১৯. উচ্চশিক্ষার জন্য UK, USA, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, ফিনল্যান্ড, সুইডেন, সুইজারল্যান্ড, অস্ট্রিয়া, হাঙ্গেরি, নিউজিল্যান্ড, জার্মানি লাটভিয়া, সাইপ্রাস, শ্রীলংকা, মালয়েশিয়া, চায়নাসহ বিদেশে যাওয়ার ক্ষেত্রে স্কলারশিপ এর ব্যবস্থা ও ফ্রি ভিসা প্রসেসিং সুবিধা।
- ২০. ছাত্র-ছাত্রীদের লেখাপড়ার পাশাপাশি বিভিন্ন খেলাধুলায় পারদর্শী করে তোলার জন্য রয়েছে ক্যামব্রিয়ান স্পোর্টস একাডেমি। ক্রিকেট, ফুটবল, টেবিল টেনিস, ব্যাডমিন্টনসহ বিভিন্ন খেলাধুুলা শেখার এখানে সুযোগ রয়েছে।
- ২১. দেশের বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেলসহ জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের সুযোগ ও পত্রিকায় লেখালেখির সুবিধা।