ক্যামব্রিয়ান কালচারাল একাডেমী
একাডেমিক শিক্ষার পাশাপাশি ক্যামব্রিয়ান এডুকেশন গ্রুপের অধ্যায়নরত শিক্ষার্থীদের মানসিক উৎকর্ষ সাধনের লক্ষ্যে ও সুনাগরিক হিসাবে গড়ে তোলার দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে ২০১১ সালে যাত্রা শুরু করে ক্যামব্রিয়ান কালচারাল একাডেমি। বিএসবি-ক্যামব্রিয়ান এডুকেশন গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান লায়ন এম.কে. বাশার পিএমজেএফ প্রতিষ্ঠা করেন ক্যামব্রিয়ান কালচারাল একাডেমি যা আজ দেশের গন্ডি পেরিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের কৃষ্টি ও সংস্কৃতি বিকাশে স্বমহিমায় ভাস্কর। 
 
বিখ্যাত শিক্ষাবিদ ও বরেণ্য সংগীত গবেষক ড. করুণাময় গোস্বামী ক্যামব্রিয়ান কালচারাল একাডেমির অধ্যক্ষ হিসাবে দায়িত্ব পালন শুরু করেন এবং তাঁর নেতৃত্বে একদল উচ্চ প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত শিক্ষকবৃন্দ নিয়ে যাত্রা শুরু করে এই একাডেমি। ক্যামব্রিয়ান কালচারাল একাডেমি যাত্রা শুরুর প্রথম বছরেই সংস্কৃতিক অঙ্গনে চমক সৃষ্টি করে এবং দেশি-বিদেশি ৫১টি পদক ও পুরস্কার অর্জন করে ঈর্ষনীয় সাফল্য অর্জন করে। এই সাফল্যের ধারাবাহিকতা ক্রমে ক্রমে বর্ধিত হয়ে আজ মহিরুহের আকার ধারণ করেছে। বিগত একযুগে এই প্রতিষ্ঠান এক হাজারেরও বেশি দেশি-বিদেশি অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে অন্যন্য স্বীকৃতি অর্জন করেছে এবং পাঁচ শতাধিক পুরস্কার ও পদক অর্জন করেছে।
 
ক্যামব্রিয়ান কালচারাল একাডেমি কি?
* শিক্ষার্থীদের পূর্ণ মেধা বিকাশ ও সামগ্রিক শিক্ষা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ক্যামব্রিয়ান এডুকেশন গ্রুপ কর্তৃক গৃহীত একটি নতুন উদ্যোগ যা ২০১১ সালে যাত্রা শুরু করে।
* বিভিন্ন সাংস্কৃতিক বিষয় ও সৃজনশীলতা বিকাশের নানামুখি উদ্যোগের প্রশিক্ষণ কেন্দ্র।
সংস্কৃতি শিক্ষার প্রচলিত ধারায় প্রয়োজনীয় পরিবর্তন ও আধুনিকায়ন।
আলোকিত মানুষ তৈরির উদ্দেশ্যে গঠিত একটি আধুনিক সাংস্কৃতিক শিক্ষা কেন্দ্র।
* শিক্ষার্থীদের বিশ্ব মানের নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে একটি প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ।
* স্বকীয় সংস্কৃতির পঠন-পাঠন, প্রশিক্ষণ ও চর্চায় দৃঢ় প্রত্যয়ী প্রতিষ্ঠান।
* বাংলা সংস্কৃতিকে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পরিমÐলে তুলে ধরার অন্যতম প্রতিষ্ঠান।
* সুস্থ ধারার সংস্কৃতি চর্চার নির্ভরযোগ্য স্থান।
* মননশীলতার বিকাশ ও চরিত্র গঠনের নির্ভরযোগ্য স্থান।
 
ক্যামব্রিয়ান কালচারাল একাডেমি কেন?
* সুপ্ত প্রতিভা বিকাশে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেয়া।
* শিক্ষার্থীদের মেধা ও মননশীলতা বিকাশে সহযোগিতা করা।
* দেহ-মনে, চিন্তা-চেতনায়, আচরণ ও আদর্শে দেশপ্রেমিক নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলা।
* দেশীয় সংস্কৃতিতে শিক্ষার্থীদের সমৃদ্ধ করা এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তা তুলে ধরা।
* বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের প্রতিভার বিকাশ ঘটানো।
* শিক্ষার্থীদের মাঝে নেতৃত্বের গুণাবলির বিকাশ ঘটানো।
* প্রাতিষ্ঠানিক ও সাংস্কৃতিক শিক্ষার সমন্বয় ঘটিয়ে পূর্ণ মেধা বিকাশ নিশ্চিত করা।
 
ক্যামব্রিয়ান কালচারাল একাডেমির বিভাগ সমূহ
* সঙ্গীত * নৃত্য * চিত্রাঙ্কন * আবৃত্তি * নাটক * যন্ত্র সঙ্গীত * বিতর্ক * উপস্থাপনা * হাতের সুন্দর লেখা * তায়কোন-দো * দাবা * সুইমিং অ্যান্ড অ্যাথলেটি*ম্যাজিক * মাইম (মুকাভিনয়) * কুরআন তিলাওয়াত ও গীতা, বাইবেল ও ত্রিপিটক পাঠ বিভাগ।
 

ফটো গ্যালারি

ক্যামব্রিয়ান কালচারাল একাডেমি যে সকল দিবস ও উৎসব উদযাপন করে

জানুয়ারি:

* ১০ জানুয়ারি জাতীর পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস।
* ১৯ জানুয়ারি জাতীয় শিক্ষক দিবস।

ফেব্রুয়ারি: 

* ১৪ ফেব্রুয়ারি ১লা ফাল্গুন উৎসব ও বিশ্ব ভালোবাসা দিবস।
* ২১ ফেব্রুয়ারি জাতীয় শহিদ দিবস ও আর্ন্তজাতিক মাতৃভাষা দিবস।
* ২২ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক স্কাউট দিবস।

মার্চ:

* ৮ মার্চ বিশ্ব নারী দিবস।
* ১৭ মার্চ জাতীয় শিশু দিবস ও জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন উৎসব।
* ২৭ মার্চ বিশ্ব নাট্য দিবস।
* ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস।

এপ্রিল:

* ৭ এপ্রিল বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস।
* ৮ এপ্রিল বাংলাদেশ স্কাউট দিবস।
* ১৪ এপ্রিল ১লা বৈশাখ ও বাংলা নববর্ষ উৎসব।
* ১৫ এপ্রিল বিশ্ব শিল্পকলা দিবস।
* ২৯ এপ্রিল বিশ্ব নৃত্য দিবস।

মে:

* ৭ মে বিশ্ব কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মবার্ষিকী।
* ১৪ মে বিশ্ব মা দিবস (মে মাসের ২য় রবিবার)।
* ২৫ মে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের জন্মবার্ষিকী।
* ৩১ মে বিশ্ব তামাক মুক্ত দিবস।

জুন:

* ৫ জুন বিশ্ব পরিবেশ দিবস।
* ১৮ জুন বাবা দিবস (জুন মাসের ৩য় রবিবার)।
* ২১ জুন বিশ্ব সংঙ্গীত দিবস।
* ২৬ জুন বিশ্ব মাদক বিরোধী দিবস।

জুলাই:

* ২১ জুলাই বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস।

আগস্ট:

* ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস।

সেপ্টেম্বর:

* ১৭ সেপ্টেম্বর শিক্ষা দিবস।
* ২১ সেপ্টেম্বর বিশ্ব শান্তি দিবস।
* ২৯ সেপ্টেম্বর বিশ্ব শিশু অধিকার দিবস।

অক্টোবর:

* ৫ অক্টোবর বিশ্ব শিক্ষক দিবস।
* ১০ অক্টোবর মানসিক স্বাস্থ্য দিবস।
* ১৮ অক্টোবর জাতীয় শেখ রাসেল দিবস।
* ২২ অক্টোবর নিরাপদ সড়ক দিবস।

নভেম্বর:

* ২০ নভেম্বর বিশ্ব শিশু দিবস।

ডিসেম্বর:

* ১২ ডিসেম্বর ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস।
* ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজিবী দিবস।
* ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস।
 
এক নজরে ক্যামব্রিয়ান কালচারাল একাডেমি অর্জন সমূহ
 
জাতীয় অঙ্গনে অর্জনসমূহ
* শেখ রাসেল পরিষদ কর্তৃক আয়োজিত বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় ক্যামব্রিয়ানের ১৩ জন শিক্ষার্থী মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে পুরস্কার অর্জন করেছে।
* বাংলাদেশ শিশু একাডেমিক কর্তৃক আয়োজিত বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় ২০১১ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত ১২৩টি বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে পুরস্কার অর্জন করেছে।
* শিক্ষামন্ত্রনালয় কর্তৃক আয়োজিত জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ উপলক্ষ্যে আয়োজিত প্রতিযোগিতায় থানা, জেলা, বিভাগ ও জাতীয় পর্যায়ে ২০১১ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত ৯১টি পুরস্কার অর্জন করেছে।
* বঙ্গবন্ধু মেধা অন্বেষণ প্রতিযোগিতায় ৫টি পুরস্কার অর্জন করেছে।
* সরকারি ও বেরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান কর্তৃক আয়োজিত নৃত্য, সংগিত, চিত্রাঙ্কন, হাতের লেখা, বিতর্ক, অভিনয় ও আবৃত্তিসহ নানা প্রতিযোগিতায় ৩০০শত এর অধিক পুরস্কার অর্জন করে ক্যামব্রিয়ান কালচারাল একাডেমি বাংলাদেশে একটি স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানে পরিনত হয়েছে। 
* ঢাকা জেলা পরিষদ কর্তৃক আয়োজিত ২৬ শে মার্চ স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে নিয়মিত অংশগ্রহণ করে ডিসপ্লে ও কুচকাওয়াজে অংশগ্রহণ করে একাধিক বার ২য় পুরস্কার অর্জন করে প্রতিষ্ঠানকে সম্মানিত করেছে। এই অনুষ্ঠানে প্রতি বছর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে অনুষ্ঠানসমূহ উপভোগ করেন।
* গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রনালয় কর্তৃক আয়োজিত প্রতিযোগিতাসমূহে অংশগ্রহণ করে অসংখ্য পুরস্কার অর্জন করেছে। উল্লেখ্য বন ও পরিবেশ মন্ত্রনালয় কর্তৃক পরিবেশ দিবসের প্রতিযোগিতায় শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান হওয়ার গৌরব অর্জন করে ক্যামব্রিয়ান কালচারাল একাডেমি।
* বাংলাদেশ স্কাউট কর্তৃক আয়োজিত বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অনুষ্ঠানসমূহের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে গৌরবের সাথে অংশগ্রহণ করে আসছে ক্যামব্রিয়ান কালচারাল একাডেমি।
* বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক দিবসসমূহ উদযাপন ও এই উপলক্ষ্যে আয়োজিত বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় ক্যামব্রিয়ান কালচারাল একাডেমি অংশগ্রহণ করে বহুবিধ পুরস্কার অর্জন করে তাদের ভান্ডারকে সমৃদ্ধ করছে।
* বিভিন্ন দিবস ও অনুষ্ঠান উপলক্ষ্যে আয়োজিত বিভিন্ন অনুষ্ঠান মালায় বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেলে ক্যামব্রিয়ান কালচারাল একাডেমির শিক্ষার্থীরা নিয়মিত অংশগ্রহণ করে আসছে এবং মানসম্মত পারফরমেন্স করে প্রযোজকদের সুনজর কাড়তে সক্ষম হয়েছে।
 
আন্তর্জাতিক অঙ্গনে অর্জনসমূহ
* ইন্টারন্যাশনাল ফোক ড্যান্স ফেসটিভ্যাল। কুল্লু হিমাচল প্রদেশ, ভারত। ১০টি দেশের মধ্যে ২য় স্থান অর্জন।
* ইন্টারন্যাশনাল ফিমেল ফোক ড্যান্স কম্পিটিশন, শিমলা হিমাচল প্রদেশ, ভারত। ১৭টি দেশের মধ্যে ২য় স্থান অর্জন।
* ইন্টারন্যাশনাল ফিমেল ফোক ড্যান্স কম্পিটিশন, শিমলা হিমাচল প্রদেশ, ভারত। ১৩টি দেশের মধ্যে ২য় স্থান অর্জন।
* চারু ক্যাসেল ইন্টারন্যাশনাল পেইনটিং কম্পিটিশন, গাজীয়াবাদ, দিল্লি উত্তর প্রদেশ, ভারত। ২২টি দেশের মধ্যে সেরা দশে ৪র্থ স্থান অর্জন।
* ইন্টারন্যাশনাল এনভারমেন্টাল অলিম্পিয়াড সিটি মন্টেসরি স্কুল লখনউ উত্তর প্রদেশ, ভারত। ১১টি দেশের মধ্যে ২য় স্থান অর্জন।
* ইন্টারন্যাশনাল ফোক ফেসটিভ্যাল কাঠমুন্ডু, নেপাল। বেস্ট পারফরমেন্স অ্যাওয়ার্ড।
* ইন্টারন্যাশনাল ফোক ফেসটিভ্যাল পোখরা, নেপাল। বেস্ট পারফরমেন্স অ্যাওয়ার্ড।
* নেপাল-বাংলাদেশ কালচারাল এ*চেঞ্জ প্রোগ্রাম, নেপাল। বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ১১টি পুরস্কার।
* ইন্টারন্যাশনাল ডান্স ফেসটিভ্যাল, ব্যাংকক, থাইল্যান্ড। বেস্ট পারফরমেন্স অ্যাওয়ার্ড।
* ইন্টারন্যাশনাল ডিবেট চ্যাম্পিয়ানশিপ, তুরস্ক। শ্রেষ্ঠ বক্তার পুরস্কার।
* ইন্টারন্যাশনাল মডেল ইউএন প্রোগ্রাম, মুম্বাই, ভারত। ১টি পুরস্কার।
* ইন্টারন্যাশনাল মডেল ইউএন, কলকাতা, ভারত। ২টি পুরস্কার।
* আন্তর্জাতিক নৃত্য উৎসব, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত। ২টি পুরস্কার।
* এছাড়াও যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কোরিয়া, অস্ট্রেলিয়া, জাপান ও ইন্দোনেশিয়াতে ক্যামব্রিয়ান শিক্ষার্থীবৃন্দ একাধিক প্রোগামে অংশগ্রহণ করে বাংলাদেশের সংস্কৃতিকে বিশ্ব মঞ্চে তুলে ধরেছে।